বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে ধাবিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে রোবটিক সিস্টেমের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের যুব সমাজ কিভাবে তারা তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারে সে বিষয়কে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পত্রিকা পরিচালনা করে যাচ্ছে। যেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে উদ্যোক্তা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় কি করা যেতে পারে তার তথ্যের সংমিশ্রন। তরুণ নারী ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের জীবন সাজাতে পারে তার উপর গুরুত্ব আরুপ করা হয় আমাদের প্রতিসংখ্যায়। বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পত্রিকার স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে “নবীন প্রবীণের সেতুবন্ধন”। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আমাদের পত্রিকাটি নিম্ন লিখিত বিষয়বস্তুর উপর সাজিয়েছি :
আমরা নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত ও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সেমিনার এর আয়োজন করব যা পরবর্তীতে আমাদের পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
আমাদের প্রতি সংখ্যায় শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ কল্পে নিজেদের উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করব। যা বাস্তবায়নে শিক্ষক ছাত্রের সমন্বয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে একটি টিম তৈরী করা হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে পরিবর্তিত করার নামই জীবন। আর তরুণ সমাজ অতি সহজে নিজেকে সময়ের সাথে আপডেট করে মানিয়ে নিতে পারে। তাই বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগীতা করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের তৈরী করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই । এর জন্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকে নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরী। আর এই নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে “সাপ্তাহিক উদ্যোক্তা” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাই আমাদের প্রতি সংখ্যাতেই কিছু না কিছু নতুন তথ্যের সন্নিবেশ ঘটাব সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশায়।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফ্রিলান্সিং করেও অনেকে ভালো অর্থ আয় করছে। ফ্রিলান্সিং এর সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
আমাদের প্রোটিন এর অভাব মিটাতে পোলট্রি শিল্পের ভূমিকা অনেক। বাজার ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এর বাজার বা আর্থিক মূল্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই আমাদের খামার, পোলট্রি ও মৎস শিল্প নিয়ে কয়েকটি সংখ্যা ছাপান হবে।
সিজনাল পণ্যের বাংলাদেশে একটি বড় বাজার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি মধ্যস্থতাকারীর কারণে প্রকৃত উৎপাদনকারী তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রকৃত উৎপাদনকারী কিভাবে প্রকৃত মূল পেতে পারে তার কৌশল নিয়েই প্রকাশ করা হবে কয়েকটি সংখ্যা।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দিন দিন গ্রামীণ অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুবকদের যদি আমরা গ্রামের দিকে আকৃষ্ট করতে পারি তবে আমাদের অর্থনীতির আকার যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি শহরের উপর থেকে বাড়তি চাপ হ্রাস পাবে। আমরা কয়েকটি সংখ্যা এই গ্রামীণ অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশ করব।
কৃষি ও কৃষক বাংলাদেশের প্রাণ। এই কৃষকদের সুরক্ষায় কি করা যেতে পারে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের করণীয় কি? তাছাড়া কম জমি ব্যবহার করে অধিক ফলন কিভাবে পাওয়া যাবে অথবা কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাত প্যক্রিয়া কেমন হবে তা কয়েকটি সংখ্যায় তুলে ধরা হবে।
বর্তমান ব্যবসায়িক পেক্ষাপট এবং জীবন মানের উন্নয়নে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীসমূহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী সমূহও। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরে ৪৫টি ও পাবলিক সেক্টরে ১টি সাধারণ বীমা কোম্পানী রয়েছে অপরদিকে প্রাইভেট সেক্টরে জীবন বীমা ৩২টি ও পাবলিক সেক্টরে ১টি জীবন বীমা রয়েছে। এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীসমূহ জাতীয় অর্থনীতি ছাড়াও তরুণ সমাজের জন্য কি ভূমিকা পালন করতে পারে তা কয়েকটি সংখ্যায় তুলে ধরা হবে।
ব্যবসার মূল চালিকা শক্তি রানিং ক্যাপিটেল। আর এই রানিং ক্যাপিটেল সংগ্রহের সবচেছে গ্রহণযোগ্য মাধ্যম ব্যাংক। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯টি প্রাইভেট ব্যাংক ও ৯টি পাবলিক ব্যাংক রয়েছে যার মধ্যো ৩টি স্পেশালাইস্ট ব্যাংক তাছাড়া ৯টি ফরেন ব্যাংক ছাড়াও ৫৫টি কমার্সিয়াল ব্যাংক রয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে তারা কি ধরণের ভূমিকা পালন করছে তাছাড়া তরুণ উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ পেতে কি করা যেতে পারে তা তুলে ধরা হবে কয়েকটি সংখ্যায়।
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক চেম্বার রয়েছে ৮১টি। যা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত। অথচ আমরা যদি প্রান্তিক কৃষকের কথা বলি তারা আজও অবহেলিত। শুধু প্রান্তিক কৃষক নয় প্রান্তিক পর্যায়ের যেকোনো ব্যবসায়িকদের এই চেম্বারসমূহ কিভাবে উপকার করতে পারে তা ৮১টি সংখ্যার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে ১৪টি ট্রেড বডি রয়েছে। (ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), অ্যাসোসিয়েশন অব এয়ার কার্গো এজেন্টস অব বাংলাদেশ, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (এটিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা), বাংলাদেশ লেদার গুডস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন (বিএলজিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ, ব্রিটিশ ট্রেড সেন্টার, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশ (ফিকি), জাপান এ্যাক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশন, কোরিয়ান ট্রেড সেন্টার, ট্রেড সেন্টার অব চায়না)। এই ট্রেড বডি সমূহের কার্যক্রম নিয়ে আমরা ১৪টি সংখ্যা প্রকাশ করব। যেখানে তুলে ধরা হবে উন্নত বিশ্বের ট্রেড বডি সমূহ জাতীয় অর্থনীতিতে কি ধরণের ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি নীতি নির্ধারনী পর্যায় ভূমিকা রাখে সে বিষয়সমূহ নিয়ে। তরুণরা এই ট্রেড বডি থেকে কি সুবিধা পেতে পারে বা তাদের করণীয় কি তাই তুলে ধরা হবে এই সংখ্যাগুলোতে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজ মহিমায়। বর্তমান যুগের নারীরা ঘরে বাইরে সমানতালে তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে। আর যদি আমরা এই নারীদের আমাদের মূল অর্থীতির ধারায় সম্পৃক্ত করতে পারি তবেই আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরী করা সম্ভব। তাই আমাদের একটি সংখ্যা সাজানো হবে এই নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যা সম্ভাবনা ও তাদের চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে।
বাংলাদেশে স্বীকৃত এ্যাসোসিয়েশন ২৮২ টি। আমাদের পত্রিকার মাধ্যমে সেক্টর ওয়াইজ উদ্যোক্তার তথ্যাদি তরুণদের মাঝে তুলে ধরব। যেখানে নির্দিষ্ট সেক্টরের কর্তা ব্যক্তিদের জীবনীর পাশাপাশি এই সেক্টরে আসার গল্প তুলে ধরা হবে। তুলে ধরা হবে এই সেক্টরে সমস্যা সম্ভাবনা এবং তরুণদের করণীয় বিষয় নিয়ে।
সফল মানুষদের সাফল্য গাথার গল্প সবাই জানতে চায়। কিন্তু তাদের এই সফলতার পিছনে রয়েছে অনেক চড়াই উত্রাই। রয়েছে দুঃখ বেদনা হাসি কান্না। শত প্রতিকূলতার মাঝে নিজেকে এগিয়ে যাওয়ার গল্প। বর্তমান তরুণ সমাজের দিকে আমরা দৃষ্টিপাত করলে দেখব শর্টকাট ওয়েতে তাদের বড়লোক হওয়ার একটি অতৃপ্ত বাসনা সবসময় নিজেদের মনে কাজ করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সফলতার কোনো শটকাট মেথড নেই। বরং ধৈর্য্য সহকারে একাগ্র চিত্তে সততা এবং নিষ্ঠা নিয়ে কেউ যদি নিজের কাজ করে যায় তবে সে নিশ্চিত সফল হবেই। বর্তমান তরুণদের এই শর্টকাট মেথডই তাদেরকে হতাশা গ্রস্ত করছে। আমাদের এই পত্রিকার মাধ্যমে সফল ব্যক্তিদের সফলতার গল্প তুলে ধরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রেরণামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে।